অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : মানবাধিকারের ফেরিওয়ালা মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিনকেন স্বীকার করতে বাধ্য হয়েছেন যে, ইহুদিবাদী ইসরাইলের আগ্রাসনে ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় অনেক বেশি বেসামরিক মানুষ মারা যাচ্ছেন।
পাশাপাশি গাজায় বেসামরিক নাগরিক হতাহতের ঘটনা এবং সেখানকার সাধারণ মানুষের দুর্ভোগ কমানোর জন্য ইসরাইলের প্রতি তিনি আহ্বান জানান।
গতকাল (শুক্রবার) ভারতের রাজধানী নয়া দিল্লিতে পৌঁছার পর সাংবাদিকদের কাছে তিনি এসব কথা বলেন। ব্লিনকেন বলেন, গাজার বেসামরিক লোকজনকে রক্ষা এবং তাদের কাছে মানবিক সাহায্য পৌঁছানোর ব্যাপারে অনেক কিছু করতে হবে। তিনি বলেন, “গত কয়েক সপ্তাহে ফিলিস্তিনের অনেক বেশি মানুষ মারা গেছেন এবং সেখানকার বেঁচে থাকা মানুষ মারাত্মক দুর্ভোগের মধ্যে রয়েছেন। তাদের রক্ষা এবং তাদের কাছে ত্রাণ সহায়তা পাঠানোর জন্য আমরা সম্ভাব্য সবকিছু করতে চাই।”
গত কয়েকদিন ধরে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমগুলোতে খবর আসছে যে, গাজায় মানবিক সহায়তা পৌঁছানো এবং সাময়িক যুদ্ধবিরতি দেয়ার জন্য ইসরাইলকে রাজি করানোর চেষ্টা করছে আমেরিকা। দিল্লিতে সাংবাদিকদের মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানিয়েছেন, ফিলিস্তিনি জনগণকে আরো কীভাবে সুরক্ষা দেয়া যায় তা নিয়ে আমেরিকা ইসরাইলের কাছে প্রস্তাব দিয়েছে তবে তিনি এ ব্যাপারে বিস্তারিত কিছু জানাননি।
ব্লিনকেন গাজায় বেসামরিক লোকজনকে রক্ষার কথা বললেও তার সরকার ইসরাইলের চলমান বর্বর সামরিক আগ্রাসনের প্রতি অকুন্ঠ সমর্থন দিয়েছে। শুধু তাই নয়, গাজায় যুদ্ধবিরতির বিষয়ে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে প্রস্তাব তোলা হলেও তাতে ভেটো দিয়েছে আমেরিকা। সেক্ষেত্রে ব্লিনকেন যে বেসামরিক ফিলিস্তিনিদেরকে রক্ষার কথা বলছেন তা নিতান্তই ফাঁকা বুলি হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে। আমেরিকার সমর্থনের কারণেই মূলত ইসরাইল গাজায় এই নিষ্ঠুরতম বর্বরতার চালিয়ে যেতে সাহস পেয়েছে যেখানে প্রতি ১০ মিনিটে একজন করে শিশু মারা যাচ্ছে।
Leave a Reply